• 1

একটি ব্যক্তিগত উপাখ্যান !

null says: null

ব্যক্তিগত একটি উপাখ্যান !

অনেকেই আমার ছেলের অসুস্থ্যতার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানতে চেয়েছেন -  তাই এই আখ্যানটি লিখলাম।  আগেই জানাই - ছেলে এখন অনেক ভালো আছে !

১০ই এপ্রিল রোববার সন্ধেবেলায় ! বিধান বৃদ্ধাবাসে যেতে হয়েছিল বিশেষ কারনে ।  গিয়ে অবশ্য আরেকটা ব্যাপারে ফেঁসে গেলাম।  তারই মধ্যে স্ত্রীর ফোন !  

মায়ামী থেকে পুত্রবধু ফোন করে খুব কান্নাকাটি করছে ।  ওরা গেছিলো ক্যারাবিয়ান ক্রুজে - অরল্যান্ডো থেকে।  - সেখানে ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে শনিবার । নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।   কোনক্রমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ক্রুজ কোম্পানি একটা হাসপাতালে তুলে দেয়।  - সেখানে কোনো চিকিৎসা হয় নি।  তাই ছেলে সেই অবস্থায় নিজের খরচে ছোট প্লেনে হপিং করে মায়ামী  এয়ারপোর্টে নামে ।  মায়ামী এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনেই কথা বলতে বলতেই মাথা ঘুরে পরে যায়।  - ব্যাস !

মায়ামীর তথা সারা আমেরিকার সরকারী স্বাস্থ্য দপ্তরগুলোর -  ভীষণ চিন্তা আরম্ভ হয়ে গেল ! একে তো - ক্রুজ ফেরৎ যাত্রী - কি না কি অজানা রোগ নিয়ে এসেছে - কে জানে ! - তায় আবার - মায়ামীর মত যায়গায় ! কে জানে কিউবার থেকে কোনো 'কমি' রোগ আমদানী করছে কিনা ! - যাইহোক, ওরা একেবারে জরুরী ভিত্তিতে পাঠিয়ে দিল - মায়ামী ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ।  কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে । ছেলের  তখন একশো চার জ্বর।  প্রবল নিউমোনিয়া।  লাংসে জল জমেছে । কোনো জনান নেই ! - আর বউ বেচারী মায়ামীতে কিছুই চেনে না - থাকবে কোথায় - কোনো ঠিক নেই।  - মাল চলে গেছে অরল্যান্ডোতে।  এক পোশাকে কাটাতে হচ্ছে - খাওয়া হচ্ছে হাসপাতালের নিচের ক্যাফেটেরিয়াতে - শুধু স্যান্ডুইচ !  

আমাদের আর দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ কোথায় ! - সোমবার ফোন করলাম ট্র্যাভেল এজেন্টকে।  এমিরেটসএ কোনো জায়গা নেই।  মঙ্গলবার রাত তিনটের সময় শুধু কার্তার এয়ার লাইনে দুটো টিকিট পাওয়া গেল - দোহা হয়ে - সোজা মায়ামী আসার !   

বুধবার বিকেলে মায়ামী নেমেই ট্যাক্সিতে করে একবারে হাসপাতালে।  পাঁচ তলায় সি সি ইউতে গিয়ে দেখি নাকে মুখে  বুকে হাতে ছুঁচ ও নলের আধিক্যে ছেলেকে আর দেখা যাচ্ছে না । রেস্পেটরি সিস্টেমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।   দেহ ফুলে ঢোল হয়ে গেছে । আমাদের দেখে তো পুত্রবধুর ধড়ে প্রাণ এলো যেন ! - আমরাও খানিক নিশ্চিন্ত হলাম !

ডাক্তার বলল -  নিজস্ব অক্সিজেন লেভেল খুব লো।  একিউট রেসপেটোরি নিউমোনিয়া ! - প্রথম দিন নাকি মাথায় ঠিক মত অক্সিজেন যায় নি ! ক দিন না গেলে কিছুই বলা যাবে না ! - আমরা জানি - মাথায় ঠিকমত অক্সিজেন না গেলে কি হতে পারে ! আমরা তো তটস্থ হয়ে আছি ! - কি হয় !

এদিকে রাত দশটা নাগাদ - হাসপাতাল থেকে বের হতে হবে ।  এখানে শুধু ওর স্ত্রীকেই থাকতে দেবে !  শুনলাম এখানে একমাত্র থাকার জায়গা ম্যারিয়ট হোটেল ।  - ইতিমধ্যে ছেলেদের দুটো ঢাউস সুটকেস দিয়েও গেছে।  সাকুল্যে চারটে সুটকেস নিয়ে হিমশিম খেতে খেতে হোটেলে আসতে - ঘর একটা পাওয়া গেল । ঘর ভাড়ার কথা আর নাই বা লিখলাম !  তারপর আছে ক্ষুন্নিবৃত্তি ।  নিচে ক্যাফেটেরিয়া - স্যান্ডুইচ খেয়ে রাত কাটানো !

পরের দিন দেখি - অঞ্চলটা হলো - হেলথ ডিস্ট্রিক্ট - চারদিকে অনেকগুলো হাসপাতাল ।  ইউনিভাসিটি হাসপাতাল ছাড়াও ক্যান্সার হাসপাতাল , চোখের , পাল্মানারী , ইত্যাদি কত নাম   বলবো।  কিন্তু না একটা দোকান , না কোনো রেস্তোরা।  অনেক দুরে একটা গ্রোসারী ষ্টোর উইন-ডিক্সি  আছে - ট্যাক্সিতে যেতে হয়।  সে পরের কথা । - তবে হ্যা ! হোটেলে - ফ্রী ব্রেক ফাস্টে খাবার দেয় বটে ! কি নেই  সেখানে ! সব রকমের ফলের রস থেকে কত রকম সিরিয়াল, বেগেল, টোস্ট , মাখন, চীজ জ্যাম জেলি, সেদ্ধ ডিম , স্ক্র্যাম্বল ডিম , সসেজ ! কত আর লিখবো ! সবার মতোই আমরাও ব্রেক ফাস্ট সেরে পুত্রবধুর জন্যে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম !

এদিকে একই ভাবে প্রায় আরো চার দিন কাটলো ।  ছেলে তো চোখ খোলেই না ! - ডাক্তাররাও কোনো আসার কথা শোনায় না।  শুধু বলে ও নিজে থেকে যেদিন স্বাভাবিক নিঃশাস নেবে - সেদিনই বলতে পারবে ! - বোঝো কান্ড - ভালো হয়ে গেলে - ঠিক হয়ে যাবে - ধরনের কথা !   আজ এ কথা লিখছি ; কিন্তু সেই সময়ে চিন্তা ভাবনাও যেন থেমে গেছিল !  - অবশেষে সোমবার রাতে ছেলে চোখ খুললো।  দেখল বটে - কিন্তু চিনতে পারল কিনা সন্দেহ !

জ্ঞান ফিরতেই আরম্ভ হলো অসহিষ্ণুতা ! সমানে নাকের নল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ! নাকের ও মুখের টিউব দিয়ে লাংস দিয়ে জল বের করার জন্যে লাগানো ।  মানে একটু সরে গেলেই ভেতরে কিছু হয়ে যেতে পারে ! - নার্সরা হাতের সঙ্গে ভারী গ্লাভস পরিয়ে দিল।  - আর হাত নাড়তে পারে না ! - মুখেও কোনো আওয়াজ বেরয় না !  - আরো দুদিন পরে সব খুলে দিয়ে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দিল ! - তখন মুখ দিয়ে খাওয়ানো আরম্ভ হলো ! কারণ খাওয়ার ইচ্ছেটা  চলে গেছে !  বুধবার হাঁটানোর চেষ্টা আরম্ভ   হলো । - বেস্পতিবার হাঁটার  টাল মাটাল কমল।  - শুক্রবার সকালে খবর দিল - ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।  কিন্তু বিশ্রামের মধ্যে রাখতে হবে ! - তাই সই ! সন্ধে বেলায় হোটেলে আনলাম।  

হোটেলে একটা পুল ছিল।  - রোববার দুপুরে ওকে একটু হাটাতে নিয়ে গেল - ওর স্ত্রী ! খানিক বাদেই ফোন ! কি না ও জলে নেমেছে ! আমি তো  তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এলাম।  দেখি সে জলে নেমে - দিব্যি হাত পা ছুড়ছে। পুল  বেশি বড় তো নয় !   

 শনিবার অন লাইনে অনেক চেষ্টা করেও দুটোর বেশি টিকিট নেই।  সোজা এয়ারপোর্টে গিয়ে চেষ্টা চরিত্র করে চারটে টিকিট পাওয়া গেল সোমবারের ।  

সোমবার আমেরিকান এয়ারলাইনের প্লেনে করে খুব সাবধানে আমরা ওয়াশিংটন ডালেস এয়ারপোর্টে পৌছলাম । প্লেন থেকে নেমে - ভেতরে আবার ট্রেন , তাতে চড়ে মাল নিতে  যেতে হল।  এয়ারপোর্টের নিচে যে অতবড় ট্রেন রাইড আছে - তা তো আগে জানতামই না ! - আর ঠিক ওই সময়েই ছেলে হুইল চেয়ার নিল না ! - তারপর হাটতে হাটতে কোমরে ব্যথা আরম্ভ হলো !  কি আর করা ! বসে থাকতে হলো অনেকক্ষণ !

মালপত্র নিয়ে একটা ট্যাক্সি নিলাম । - ট্যাক্সি ড্রাইভার - কে হতে পারে - অনুমান ! - বাংলাদেশী !  থাকে নাকি   হেরন্ডন বলে নর্থ ভার্জিনিয়ার এক অঞ্চলে ! তার সঙ্গে গল্প করতে করতে ঘন্টা খানেকের মধ্যে পৌছে গেলাম - ভিয়েনা ! এখানেই আমাদের আস্তানা !


ততটা ব্যক্তিগত নয় !

আগে তো এদেশেই থাকতাম ! তখন কিন্তু আমাদের চোখে ভালো-মন্দ মিশিয়ে - প্রতিদিনকার অভ্যেস থেকে ভালোর চেয়ে অন্য অভিজ্ঞতা বেশি।  তখন তো আমি এখানকারই বাসিন্দা !

এখন অনেকদিন পরে এদেশে এসে - অনেকটা ঠিক পর্যটক নয় - কিন্তু বহিরাগত দর্শক হিসেবে - একেবারে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে !

মায়ামীর রাস্তা ঘাট পরিস্কার - এ কথা কাউকে বলতে শুনিনি আগে ! - কিন্তু এখন দেখলাম - রাস্তা ঘাট সত্যিই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ! চিন-দেশে ঝকঝকে পরিস্কার  রাস্তা দেখে এরকম লিখেছিলাম ! এখানেও  দেখলাম বেশ পরিস্কার ! তবে গাছের পাতা পড়তে না পড়তেই কেউ তুলছে না ! রাস্তাগুলো সর্বত্র পাম গাছ দিয়ে ঘেরা ।  গাছগুলো শুধু যে ছায়া সৃষ্টি করছে তাই নয় - চোখের ওপর একটা শান্তির প্রলেপের কাজ করছে !  কোনো ময়লা কাগজ বা জঞ্জাল রাস্তায় পরে নেই ! - আর আগেকার গ্র্যফিটি করা ট্রেনের চেহারাও যেন   আগের চেয়ে একটু পাল্টেছে ! - আর গাছ-পালার সৌন্দর্যও যেন নতুন করে চোখে  পড়ল ! - বড় বড় বাড়ীগুলো যেন একটু নিঃশ্বাস নেবার জন্যে মাথা চাড়া দিয়ে আকাশের দিকে এগিয়েই  যাচ্ছে !

আমার অভ্যেস মত দুপুরে রাস্তায় বেড়িয়ে একটু ঘোরাঘুরি করি।  প্রচন্ড রোদ্দুরেও দু-চারটে লোক-জন যাতায়াত করছে ! - আমাকে দেখে প্রশ্নও ছুড়ে দিচ্ছে !  - মনে হলো একটু আন্তরিকতার ছোয়াচ ! - রাস্তার মধ্যিখান জুড়ে দোতলার সমান উচুঁতে মেট্রো ট্রেন চলছে।  বড় বড় বাসও চলছে ! আর চলছে এক ধরনের হেরিটেজ ট্রেন - বিনা পয়সায় - অল্প দৈর্ঘ্যের দূরত্বে !  - হাসপাতাল-পর্ব না থাকলে বেশ উপভোগ করার কথা !

আমরা পাতি কলকাতার মানুষ ! নানান দেশের হরেক উন্নতি দেখে বুকের মধ্যে একটা সুক্ষ যন্ত্রণা বোধ হয় ! খানিকটা  ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স কাজ করে বৈকি !


উপসংহার ! আর্তি !

সবাই উত্তর দিতে পারবেন কিনা জানিনা ! - তবু একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় !  কেউ কি জানেন মানুষ ঠিক কোন সময়ে - ভাবতে পারে - যাক এখন আমার ছুটি ! আজ আর কোনো স্কুল নেই, কোনো হোম-ওয়ার্ক নেই ! আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই ! আমি এখন মুক্ত ! যেদিকে ইচ্ছে যেতে  পারি !

আমি যেহেতু অলৌকিক কিছুতে বিশ্বাসী নই, তাই একথাও বলতে পারিনা - এবার আমারে লহ করুণা করে !

আমরা বোধয় অনেকেই এই চিন্তায় মগ্ন ! - সবাই খুঁজে চলেছি এর উত্তর !

মনোজ  

says:
মণিকুন্তলা মনোজবাবু

কি লিখবো জানিনা| কি অবস্থার মধ্যে আপনাদের দিন কেটেছে ভাবলেই অস্থির লাগছে| সৌভাগ্যবশত ছেলে এখন সেরে উঠছে| ডাক্তারের চিকিৎ্সায় ‚ ওষুধপত্রে ও আপনাদের যত্নে ধীরে ধীরে  সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ করবে আশা করি|
ছেলেমেয়ে সম্বন্ধে শুধু আশাই করতে পারি মনোজবাবু আর বলতে পারি সাবধানে থাকিস| দুশ্চিন্তা থেকে আজ ছুটি আছে বলে যে কালও থাকবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই| আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো‚ না এরকম কেউ বলতে পারে না যে আজ থেকে আমার সব কাজ সব চিন্তা শেষ|
শুভেচ্ছাসহ‚

মণিকুন্তলা

says:
James মনোজদা‚
আপনার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন‚ এটাই আসল কথা|
says:
অপন মনোজ বাবুঃ
আপনার প্রস্ন টা পড়ে একটা কথা মনে হল| আমার মেয়ে তখন সবে হাই স্কুলে উঠেছে| সেই সময় আমার শাশুরী আমাদের কছে ছিলেন| একদিন আমার স্ত্রী মেয়ের ওপর খেপে বলল ওঃ ও কল্জে গেলে আমার শান্তি| আমার শাশুড়ী বললেন তখন ভাববি ও পড়া শুনো করছে মিনা‚ কার সংগে বেরোচ্ছে‚ ইত্যাদি‚ আমার স্ত্রী বালল তবে বিয়ে হয়ে গেল আমার শান্তি| শাশুড়ী বললেন তখন ভাববি শশুর বাড়ীতে ও সুখে আছে কিন| জামাই ওকে দেখে কিনা| ওদের ছেলে মেয়েরা ঠিক হয়ে বড় হচ্ছে কিনা| আমার স্ত্রী বলল তবে আমার শান্তি কবে হবে?| শাশুড়ী বললেন যবে তুই যাবি|

এইটে আমাদের জীবন|
অপন
says:
ঝড় মনোজদা‚ আপনার ছেলের দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি| আর টেনশন করবেন না| যদি কোনো দরকারে লাগতে পারি‚ অবশ্যই জানাবেন|
says:
দীপঙ্কর বসু একেবারে চোখ না বোজা অবধি বোধহয় দুশ্চিন্তা থেকে মানুষ মুক্তি পায়না । একের পর এক অশান্তির ঢেউ আসতেই থাকে । জানিনা আর কি বলা যায় ...।
says:
সোমা সত্যি  আমরা সব্বাই  খুব চিন্তায় ছিলাম মনোজদা...মাঝে একবার তৃপ্তি আমাকে ফোন করে জানতেও চেয়েছিল আপনাদের খবর| ও বার বার আপনকে মেল করে উত্তর পাচ্ছিলনা‚ তাই|  আপনর আর বৌদির মানসিক অবস্থাও বুঝতে পারছিলাম|
খবর পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম| কিন্তু সন্তান এমনই জিনিস‚ তাদের ব্যপারে বাবা মায়ের সম্পুর্ণ চিন্তামুক্ত হবার কোন রাস্তা নেই...অপনদা একদমই ঠিক বলেছেন|
যাই হোক‚ আশাকরি উনি সাবধানে থাকবেন|   
আপনাদের পরিবারের জন্য রইল অনেক শুভকামনা|
says:
stuti.. মনোজদা ,
আপনার ছেলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ।  আনন্দ করতেগিয়ে  অচেনা জায়গায় অসুস্থ হয়ে পড়া যে কি বিপদ সে ভুক্তভোগীরাই জানে । আপনারা যে সঠিক সময়ে উপস্থিত  হয়ে বোউমাকে ভরসা জোগাতে পেরেছেন এটাও লাক বলব ।বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিপদ যখন আসে চারিদিক থেকেই আসে । ছেলে  সুস্থ হয়ে উঠছে জেনে ভাল লাগল ।আপনারাও  শরীরের প্রতি যত্ন নেবেন । আর যতদিন  চোখ খোলা আছে ছুটি কেউ পাবে না । সে আশা করবেন না ।
says:
জল মনোজদা‚

আপনার ছেলে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক এই শুভকামনা জানাই|

আপনারাও সাবধানে থাকবেন| ভালোভাবে ফিরে আসুন|

আর মুক্তি ‚ সেবুঝি শেষের সে দিনের আগে আসে না| আর এসব কথা ভাববেন না তো| এই যে বিদেশ বিভুঁয়ে থে আপনার বৌমা খড়কুটোর মত আপনাদের আগলে ধরেই তো ধড়ে প্রাণ ফিরে পেল‚ সে বুঝি কম কিছু|
says:
dalia mukherjee মনোজদা,
    আপনার লেখাটা পড়ে খানিক্ষন স্তব্ধ হয়ে বসে রইলুম। তবু নিশ্চিন্ত হলুম, আপনার ছেলে এখন ভাল হয়ে উঠেছেন। দারুন একটা ঝড় বহে গেল আপনাদের ওপর দিয়ে। মনোজদা, আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে এটুকু জানি, যতক্ষন শাস, ততক্ষন আশ। শেষ নি;শ্বাস টি ফেলা অবধি মানুষকে তার কাজ করে যেতে হবে, আর একথাও বলব, কর্মে আমাদের অধিকার আছে, কিন্তু কর্মফলে আমাদের কোন অধিকার নেই। এটা  এতখানি বয়স হয়েছে আমার, আমি মানি। তাই বাঁচা অবধি কর্তব্য করে যেতে হবে, যেটা আপনারা করেছেন, ছুটে গেছেন ছেলের কাছে, পুত্রবধুর কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আর এই কর্তব্য আপনাকে যতদিন পারবেন করে যেতে হবে।
                                  ডালিয়া।

আরো পড়ুন