
এতদিনে জেনে গেছি ভয়কে তাড়াবার একমাত্র উপায় ভয়ের শিং এ শিং জড়িয়ে লড়াই করা। নয়ত সে অন্ধকারকে জীবনের অঙ্গ করে বাঁচতে হবে…।
আমি একটা লাইনও পড়িনি বা শুনতে চেষ্টা করিনি সেই কালো দিনটির দুর্ঘটনার বর্ণনা। তবুও কানে আসে… স্বপ্নেও…

কোথা হতে নাজানি

অবশেষে সে দিন এল। তাদের সাধনাকাল পূর্ণ হল আমার হাঁটার পথে। বছর ধরে দেখছি বিক্ষিপ্ত জংলাভূমির যেখানে সেখানে স্প্রিংকলার দিলে রোজ জল দেওয়ার চলন। এর আগে বাড়ির সামনের ভূমিতে চুপিচুপি একটি নিমগাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু জলের অভাবে তা বিকশিত হতে পারেনি। এবার স্প্রিংকলার যেখানে রোজ ফেলে, চুপিচুপি ( ভোর সকালে কেইই বা দেখছে) সেখানে মাইলব্যাপি রাস্তার ধারে ধারে নিমের বীজ পুঁতে দিলাম।
এরপর তাদের সংগ্রাম আর ভাগ্য। দশ পনেরটা বীজের একটিও যদি টিকে থাকে তবে আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে!
জয় হনুমানজী কি জয়! ( উনি তো গাছেই থাকেন। )

তিহার থেকে পালিয়ে সে যে কল্যাণীর দিকে রওনা দিয়েছে সেই নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত ছিলনা। তার সাথে মুখোমুখি হয়ে পড়ার আশঙ্কায় সন্ধ্যা নামার আগেই খেলা ভঙ্গ করে বাড়ি রওনা দিতাম। ওই কদিন সন্ধ্যার পরে বাড়ি পৌঁছে মায়ের রাগি মুখ দেখতে হয়নি।
রাত্রিবেলা ঘুম ভেঙে গাছের পাতার ছায়া যখন জানালায় নেচে নেচে নকসা আঁকতো, আমি সেই প্রতিকৃতিতে স্পষ্ট শোভরাজকে দেখতে পেতাম। আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে মাকে সজেরে জাপটে ধরে মায়ের বুকে সেঁধিয়ে যেতাম।
সিরিজটা দেখতে দেখতে সব মনে পড়ে যাচ্ছে। সত্যি কি ভালো যে বানিয়েছে। আমাদের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। ম্যাগি নুডুলসও তখনই বেরিয়েছিল। তাকেও একটু জায়গা দিয়েছে দেখে বেশ মজা লাগল।

না দেখলে কলজে শক্ত করে দেখে ফেলুন। অনেকদিন পরে এত ভালো একটা সিরিজ দেখছি।
https://www.rottentomatoes.com/tv/black_warrant